নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মনিরুল ইসলাম (৪৩) নামে এক যুবকের বিশেষ অঙ্গ ফুটন্ত গরম পানি দিয়ে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে।

সোমবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি মৌচাক মাদ্রাসা রোড এলাকাস্থ বায়তুল বারাকা টাওয়ারের সপ্তম তলার একটি ফ্লাটে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী মনিরুল ইসলাম রঞ্জু সোনারগাঁ উপজেলার বাংলা বাজার এলাকার কবির হোসেনের ছেলে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতীয় সেবা ‘৯৯৯’ এ ফোন পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই মো. ওয়াহাব ঘটনাস্থলে গিয়ে দুজনকে আটক করে।

আটককৃতরা হলেন- ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানা এলাকার আমিনুল ইসলামের মেয়ে রিয়া (২৮) এবং সোনারগাঁ থানার বারদী এলাকার নুর ইসলামের মেয়ে তানিয়া ওরফে রিপা (১৮)।

ভুক্তভোগী মনিরুল ইসলাম রঞ্জুর দাবি, গত দুই বছর আগে রিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু বিয়ে হওয়ার পরও সে অন্য পুরুষদের সঙ্গে মেলামেশা করায় গত ৬ মাস আগে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়। এর আগে তার দুইটা বিয়ে হয়েছে।

তার ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য পূর্বপরিকল্পিতভাবে অন্য মেয়ের ফেসবুক আইডি দিয়ে তাকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠান। কিছুদিন ওই ফেসবুক আইডির মেয়ের সঙ্গে চ্যাটিং করার পর তাকে তার বাসায় আসতে বলে।

ওই সূত্র ধরে সোমবার সন্ধ্যায় তাকে মৌচাক এলাকায় আসতে বলে। তিনি মৌচাক এলাকায় দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর রাত ৯টার দিকে তানিয়া ওরফে রিপা তাকে বাসায় নিয়ে আসে। বাসায় এসে তৃষা এবং জাহিদ নামে আরও দুইজনকে বাসায় দেখতে পান রঞ্জু। পরে তারা তাকে নানারকম ফল দিয়ে আপ্যায়ন করে। পাশাপাশি তাকে গরম দুধ খেতে দেয়। দুধ খাওয়ার পরই তিনি অচেতন হয়ে যান।

এরমধ্যে তারা গরম ফুটন্ত পানি দিয়ে তার গোপন অঙ্গ ঝলসে দেয়। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তানিয়া তাকে বাসা থেকে নামিয়ে অটোরিকশায় করে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে আসে। পরবর্তীতে তার জ্ঞান আসার পর তিনি ‘৯৯৯’ এ ফোন দেন।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান পিপিএম বার জানান, আটককৃত ওই দুই নারীকে থানা হাজতে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।